গলে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্টে দিনের শুরু আর শেষের চিত্রটা সম্পূর্ণ বিপরীত। যেখানে মধ্যাহ্ন বিরতির আগেও স্বাগতিকদের পক্ষে ছিল স্কোরবোর্ড, দিনশেষে তার দখল নিলো বাংলাদেশ। দলীয় ৫০ রানের আগেই টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটার ফিরেন সাজঘরে। তবে এরপর দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। এ দুজন মিলে গড়েছেন ২৪৭ রানের বিশাল এক জুটি। এ জুটির সুবাদেই আর কোনো উইকেট না হারিয়ে টাইগাররা দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে। আর দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার পথে মুশফিক-শান্ত দুজনই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের এই সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করেছে বাংলাদেশ। যদিও এদিন শুরুটা আশাব্যঞ্জক হয়নি। দলীয় মাত্র ৪৫ রানেই ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা। শুরুতেই (দলীয় ৫ রানে) আউট হয়েছেন এনামুল হক বিজয়। ১০ বলে শূন্য রান করে তিনি আসিথা ফার্নান্দোর বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে স্লিপে ক্যাচ দেন। এরপর মুমিনুল হক এবং সাদমান ইসলাম মিলে যোগ করেন ৩৪ রান। দুজনকেই ফিরিয়েছেন অভিষিক্ত লঙ্কান স্পিনার থারিন্দু রতœনায়েকে। মুমিনুল ২৯ এবং সাদমান ১৪ রান করেছেন।
এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন মুমিনুল হক। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। থারিন্দুর বাইরের বল খেলে স্লিপে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ফলে বাংলাদেশ হারায় তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। শুরুতেই তিন টপ অর্ডার ব্যাটারের বিদায়ে চাপে পড়ে সফরকারীরা।
এমন অবস্থায় ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব কাঁধে নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। দুই ব্যাটারই ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। এ দুজনের প্রতিরোধী জুটির সুবাদেই মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ পায় ৯০ রানের দেখা।
শান্ত-মুশফিক জুটি মধ্যাহ্নবিরতির পরও বাংলাদেশ দলকে পথ দেখিয়েছে। এ দুজনের ইনিংসের সুবাদেই আর কোনো উইকেট না হারিয়ে দলীয় ২০০ রান পূরণ করে টাইগাররা। চা বিরতিতে যাওয়ার আগেই দুজন পেয়েছেন ফিফটির দেখা। এরপর দিনের শেষ সেশনে সেঞ্চুরি তুলে নেন দুজনেই।
প্রবাত জয়াসুরিয়াকে সুইপ করে ২ রান নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটা পেয়ে যান শান্ত। আর মুশফিক পেলেন লাল বলের ক্রিকেটে নিজের ১২ তম সেঞ্চুরির দেখা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তাঁর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু মুমিনুলের–১৩টি। এ দুজনের শতকের সুবাদেই বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে।